ডিমের উপকারিতা ও ডিমের অপকারিতা সহ আজকের ডিমের বাজার

সাধারণত ডিমকে আদর্শ খাবার বলা হয়। ডিমে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট , কোলেস্টেরল, নিয়াসিন, রাইবোফ্লাবিন , ফোলিক এসিড, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, লিউটিন। তাছাড়াও ডিমে অনেক খনিজ পদার্থ রয়েছে খনিজ পদার্থ গুলোর আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। 


তাছাড়া ডিমে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় নিঃসন্দেহে এটি একটি পুষ্টিকর খাবার। ছোট বড় সবাই ডিম খেতে পছন্দ করে। অসুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে ডিম একটি বিশেষ খাবার বলে বিবেচিত হয়। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নেই ডিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।


কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

হাঁষ মুরগির ডিম এর চেয়ে কোয়েল পাখির ডিম বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়ে থাকে। যদিও এই দিনটি ছোট আকৃতির ডিম। কারণ কোয়েল পাখি ও ছোট হয়ে থাকে। যার হাসি মুরগির ডিম খেয়ে হতাশ তারা অল্প মূল্যে কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারবেন। কোয়েল পাখির ডিম এ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে এবং এটি কর্মদক্ষতা এবং বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে।


এটি আপনার শরীরে কর্মক্ষমতা ও শরীরকে চাঞ্চল্যকর করে তুলতে সহায়তা করবে। ভিটামিন বি ওয়ান সমৃদ্ধ উপাদানে ভরপুর যেটি মুরগির ডিম থেকে ছয় গুন বেশি। শিশুদের জন্য শারীরিক ও মানসিক বুদ্ধিমত্তা ঘটাতে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারে এছাড়া এটি কিডনি ও লিভারের সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

ডিমের উপকারিতা ও ডিমের উপকারিতা সহ আজকের ডিমের বাজার
ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা


হাঁসের ডিমের উপকারিতা

হাঁসের ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ যা হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। হাঁসের ডিমের সেলেনিয়াম উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটাতে রয়েছে রিবোফ্লাবিন, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মধ্যে অন্যতম। আসুন হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

  • মুরগির ডিম থেকে হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। প্রোটিন আপনাকে চর্বি হীন পেশি তৈরিতে সাহায্য করে।
  • হাঁসের ডিমের বিভিন্ন উপাদান যেমন- জিংক,ম্যাগনেসিয়াম‌ শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
  • হাঁসের ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭, বি৯, বি১২। যার প্রত্যেকটি উপাদান শরীরের বিভিন্ন কাজ করে থাকে।
  • ভিটামিন বি১- ভিটামিন বি১ স্ট্রেস সম্পর্কিত ব্রেক আউট প্রতিরোধ করে।
  • ভিটামিন ‌বি৩- ব্রন, একজিমা কমাতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন ‌বি৫- ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন বি৬- পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করে এবং শুষ্ক ত্বকের হাত থেকে রক্ষা করে।
  • ভিটামিন বি৭- ত্বককে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
  • ভিটামিন বি৯-‌ শরীরের মৃত ত্বক গুলোকে নতুন করে প্রতিস্থাপন করে।
  • ভিটামিন বি১২-‌‌ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • 'ভিটামিন সি"ব্যতীত অন্য সব ভিটামিন হাঁসের ডিমে বিদ্যমান থাকে।
  • হাঁসের ডিমে বিদ্যমান সকল পুষ্টি উপাদান শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতক্ষণ আমরা হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করলাম।


হাঁসের ডিমের অপকারিতা

অনেকেই সকালের নাস্তায় প্রতিদিন হাঁসের ডিম পছন্দ করেন। কিন্তু এটি একেবারেই শরীরের জন্য ভালো নয়। হাঁসের ডিমের অপকারিতা গুলো হল:


হাঁসের ডিমের উপকারিতা যেমন অনেক, তেমনি হাঁসের ডিমের অপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়ম মেনে হাঁসের ডিম খাওয়া উচিত।


কাঁচা ডিম খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা ডিম থেকে বেশি শক্তি পাওয়া যায়, এটা বেশি শক্তি যোগান দিতে পারে কথাটি ভূল। এর কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তিও নেই। বরং কাঁচা ডিম খেলে শরীরে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। অনেকে আবার কাঁচা ডিম খেতে পছন্দ করে। 


তবে কাঁচা ডিমে যে একবারেই কোনো উপকারিতা নাই কথাটি এমন নয়। এখানে কাঁচা ডিমে ভিটামিন বি ৬ পাওয়া যায় অন্য দিকে সিদ্ধ ডিমে 0.72 মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন পাওয়া যায় তার সাথে ১১৮ মি.লি প্রোটিন পাওয়া যায়।


আজকের ডিমের বাজার

বর্তমানে এক হালি ডিমের বাজার মূল্য ৪২ টাকা। কাজী ফার্মস এক হালি ডিম বিক্রি করছে ৪৪ টাকা দরে। এক হালি ডিমের পাইকারি মূল্য ৩৮ টাকা। লাল মুরগির এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগির এক হালি ডিমের দাম ৪২ টাকা। এবং একটি ডিমের দাম ১১ টাকা। যা অন্যান্য সময় তুলনায় দামের অংকটা একটু বেশি।


পাকিস্তানি মুরগির এক হালি ডিমের দাম ৪২ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের দাম অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে বাজারে একহালি দেশি মুরগির ডিমের দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা কিছুদিন আগেও বিক্রি হত ৪০ টাকা দরে। ১ কেস দেশি মুরগি ডিমের দাম ৪৫০ টাকা। এবং একটি দেশি মুরগির ডিমের দাম প্রায় ১৫ টাকা।


জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যায়

ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। জন্ডিস হলে ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। ডিম সহজপাচ্য খাবার নয়। জন্ডিস হলে যতটা সম্ভব সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত। জন্ডিস হলে ডিম খাওয়া পুরোপুরি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে বিষয়টা এমন না। তবে নিয়মিত প্রতিদিন একটার বেশি ডিম খাওয়া যাবেনা। 


এতে লিভারের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। জন্ডিস হলে যতটা সম্ভব সহজপাচ্য খাবার যেমন শাক সবজি, ফলমূল ইত্যাদি খেতে হবে। ডিমে যে ফ্যাট বিদ্যমান, জন্ডিস আক্রান্ত ব্যক্তির এই ফ্যাট এড়িয়ে চলা উচিত। তাই জন্ডিস হলে ডিম যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং শাকসবজি ফলমূলের পাশাপাশি বেশি করে পানি খান।


Read More:


ডিমের উপকারিতা

ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। ডিম খুবই উপকারী এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। আসুন ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

  • ডিমে বিদ্যমান "ভিটামিন এ" এবং "ভিটামিন ডি" হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
  • ওজন কমাতে ডিম কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধের ডিম ভূমিকা রাখে।
  • প্রতিনিয়ত ডিম খেলে হাড়ের সমস্যা এবং বাতের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
  • দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার ক্ষেত্রে ডিম অতুলনীয়।
  • মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • পেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
  • চুল মজবুত করতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে ডিম খুবই উপকারী।

আশা করি ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। ডিমের অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন একটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত না।


Read More:


পরি শেষে

ডিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আবার এটাও সত্যি যে অতিরিক্ত পরিমাণে ডিম খেলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা রকমের অসুখ। তাই সুস্থ থাকতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়ম মেনে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ টা ডিম অবশ্যই খাওয়া উচিত। 


তবে যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, অথবা শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্রতিনিয়ত ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Globalic World

Globalic World Is One Of The Best Education And Technology Based Knowledge Sharing Site In Bangladesh.

Post a Comment

Previous Post Next Post